লাকসামে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাকসাম নাট্যজংশন ‘র নাটক দুইবার প্রদর্শন
লাকসামে স্বাধীনতা দিবস, মুজিব বর্ষ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্ধ শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লাকসাম নাট্যজংশনের নাটক দুই বার প্রদর্শিত হলো।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন আয়োজন করে স্থানীয় পাইলট স্কুল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে লাকসাম নাট্যজংশন শুরুতে সংগঠনটির ৩য় প্রযোজনা নাটক “প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ”র ৫ম প্রদর্শনী। এক সময়ে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে শ্রমিক লীগের একই আয়োজনে নাটকটির ৬ষ্ঠ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে নাটকটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা তুলে আনা হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন।
নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক জি.এম.এস রুবেল বলেন, একটা সময় ছিল ইতিহাসকে পরিকল্পিত ভাবে বিকৃত করা হতো। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার হতো যা এখনো হচ্ছে। ধর্মকে সামনে এনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আটকে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে এবং জাতির পিতা প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে বারবার ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা হয়েছে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি নাটকটিতে তুলে আনবার চেষ্টা করেছি। আশাকরি নতুন প্রজন্ম উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পাইলট স্কুলে নাটকটি দেখে লাকসাম উপজেলা সরকারি হাসপাতালের ডা. আব্দুল মতিন বলেন, চমৎকার একটা পরিবেশনা দেখলাম। নাটকের নির্দেশক জি.এম.এস রুবেল আমার বন্ধু মানুষ, লাকসামে তার এমন চেষ্টা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। জংশনস্থ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কার্যালয়ের সামনে নাটক দেখে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন যুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন ননি। তিনি বলেন, এটাই আসল ইতিহাস, এটাই মুক্তিযুদ্ধের নাটক। খুব ভাল লাগলো। কর্তৃপক্ষ নাটকটি অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজন করলে আরেকটু ভালো হতো। আমার কাছে কনসার্টের চাইতে আমাদের এলাকার ছেলেদের পরিবেশনা উত্তম মনে হয়েছে। এদেরকে সচেতন মহল একটু পৃষ্ঠপোষকতা দিলে তারা অনেক দূর যাবে আমি দোয়া করি।
লাকসাম নাট্যজংশন নামক সংগঠনের সাংগঠনিক তত্বাবধায়ক প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন পেয়ার বলেন, আমরা একটি ২০ মিনিটের নাটক দেখতে যত সহজ এর সৃষ্টি তত সহজ ছিল না। প্রায় এক বছর মহড়া দিয়ে একটি নাটক মঞ্চ উপযোগী হয়। এই দীর্ঘ সময়ে শ্রমের পাশাপাশি অর্থ ব্যায় হয়। নাটক মঞ্চায়নের জন্য আপ্যায়ন, যাতায়াত, পোশাক, কস্টিউমস, মেকাআপ, প্রচার ও প্রকাশনা বাবদ মোটা টাকা ব্যায় হয়। নিয়মিত এই টাকার যোগান দেয়া সত্যি কষ্টসাধ্য। আমি ধন্যবাদ দিতে হবে আমাদের সংগঠনের দলপ্রধান আমার স্নেহের ছোট ভাই জি.এম.এস রুবেলকে, কারণ তার ত্যাগ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সব কিছু এখন পর্যন্ত সুন্দরভাবে সম্মন্ন হয়ে আসছে। নাটক প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ তার অসাধারণ একটি সৃষ্টি।
নাটকটির নেপথ্যে কাজ করেন মোঃ কামরুল হাসান, তৌহিদুল ইসলাম রবিন ও তাইমুন আহমেদ রাকিব। আর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, নুশরাত জাহান ঝুমুর, তানভীর হাসান রাজ, হৃদয় চন্দ্র দাস, সুমামা তারান্নুম স্নেহা, তনুশ্রী দেবনাথ, দোলা সাহা, বরকত উল্লাহ হৃদয়, মহিউদ্দিন মিয়াজি, মাহমুদুল হাসান মিরাজ, বুলবুল আহমেদ, হাবিবুল্লাহ শাহিন প্রমুখ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.