নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার ওজোনস্তর সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত সব কর্মসূচি ও প্রকল্প যথাসময়ে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে চলছে।
তিনি বলেন, দেশে হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বনের (এইচসিএফসি) ব্যবহার রোধের দিক নির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অতিশীঘ্রই কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে। আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২২ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপন ও থার্মাল ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ আউট করার কাজ চলছে। এলক্ষ্যে আমরা এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২ বাস্তবায়ন করছি। এর বিকল্প প্রযুক্তি একই সঙ্গে ওজোনস্তর এবং জলবায়ুবান্ধব হবে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসির ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এর ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে। রূপান্তরিত এসিগুলো যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়, তার প্রতি বিশেষ নজর দিবেন। এতে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ওডিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.