নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের শিক্ষক দম্পতি এ কে এম জিয়াউর রহমান ও মাহমুদা আক্তার হত্যার বিচার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জিয়াউর রহমান (৫১) টঙ্গী বিসিক এলাকার শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫) টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পরও তাঁদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পরদিন শুক্রবার একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বেলা একটার দিকে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় থেকে বের হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে তারা হাতে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সড়কে। পরে শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে সড়কের মাঝবরাবর দাড়িয়ে বিক্ষোভ করে। এতে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, জিয়াউর রহমান তাদের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে, তা তারা জানে না। ঘটনার তিন দিন পরও এ ঘটনায় কোনো বিচার না হওয়ায় তারা হতাশ। তারা চায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার হোক। না হয় তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে।
মো. রবিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার অনেক মিশুক ছিলেন। আমাদের খুব আদর করে পড়াতেন। এখন স্যার না থাকায় আমাদের খুব খারাপ লাগছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষক দম্পতি হত্যার বিচার দাবিতে ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী কয়েক মিনিটের জন্য সড়কে অবস্থান নিয়েছিল। পরে রোদে, গরমে তারা নিজ থেকেই সড়ক থেকে চলে যায়। এতে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.