শামীমা খানম : ভোট আসে ভোট যায়, রাস্তা পাল্টায় না। ৪০ বছরে ভোট হয়েছে অনেক বার। টঙ্গী পৌরসভা নির্বাচন । আরও একটি সংসদ নির্বাচন আসন্ন। মেম্বার,চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ প্রতি ভোটেই প্রতিশ্রুতি দেয় রাস্তাটি পাঁকা করে দিবেন। নির্বাচনী মহরত কেটে গেলে মনে থাকেনা যেন বিজয়ী প্রার্থীদের। নদীর পাড় ৪৫ নং ওয়ার্ড বউবাজার সংলগ্ন এক কিলোমিটার রাস্তা । নদীর পাড় বউবাজার সংলগ্ন রাস্তাটি গ্রামের মানুষের আর্তনাদের ভাষা এরকম। ডাঃ আলী আকবরের বাড়ি থেকে বউবাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা । আবার বিকোমতীর বাড়ি থেকে শহীদ স্মৃতি স্কুল পর্যন্ত এক কিলোমটার রাস্তা ইট নির্মিত। কিন্তু ডাক্তার আলী আকবর থেকে বউবাজার পর্যন্ত এই এক কিলোমিটার রাস্তা অবহেলতি। যা কাঁচা অবস্থায় পড়ে আছে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে। যে রাস্তার বৈশিষ্ট্য হলো গ্রীষ্মকালে ধুলা আর বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা। বৃহৎ খানা খন্দে কোমর অবধি পানি। এভাবে বছরের পর বছর বিদ্যালয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। হাসপাতালে যেতে হয় রুগিদের। আর শিশু,বৃদ্ধদের তো থাকতে হয় ঘর বন্দি। চলতে গেলে মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষা করা হয় কঠিন। নৈমত্তিক যাদের যাতায়াত বাধ্যতামূলক এলাকার এমন জনসাধারণের ভোগান্তির অন্ত নেই। বর্তমানে ড্রেনের উপর দিয়ে ইট বালু সিমেন্ট ভারী মালামাল বহন করে নিয়ে যাচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। যার ফলে ড্রেনের উপরে রাস্তা দিয়ে শিশু সহ সকলের হাঁটাচলা অসুবিধা হয়ে গিয়েছে যে কোন মুহূর্তে এই ড্রেন পড়ে যেতে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা রয়েছে। এমন ভাবে পানি জমাট বাঁধা যেন নৌকা চলাচলের জন্য শ্রেয়। জানা গেছে, এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষকে বিভিন্ন স্থলে যাতায়াত করতে হয়। যার মধ্যে মহাসড়ক , উপজেলা সদর। মহিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডাক্তার আলী আকবর বিদ্যালয়, টঙ্গী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়,কয়েকটি মসজিদ , বউবাজার, জামাই বাজার, রয়েছে। যানবাহনের আশা করা অন্ধের যষ্টি। পায়ে হেঁটে পানি কাঁদার এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া এতোটা ভোগান্তি ও কষ্টকর, যার ইয়ত্তা নেই। এমনটি জানালেন এলাকার বাসিন্দা আতস মি। জরিনা বেগম নামে একজন বললেন; গত চল্লিশ বছর ধরে এভাবে রাস্তা পড়ে আছে। আমরা কষ্ট ভোগ করে আসছি। ভোটে জিতে গেলে রাস্তাটি পাঁকা করে দিবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রত্যেক প্রতিনিধি।কিন্ত আমাদের ভোগান্তি রয়েই গেল। আলমগীরের মা বললেন; ভোটের সময় রাস্তা পাঁকা করে দেওয়ার কথা বলেও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি মকবুল দাবি জানালেন তাদের কষ্ট লাঘবের আশু ব্যবস্থা নেওয়ার। টুঙ্গি পৌরসভার লেহাজ উদ্দিন প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নবনির্মিত ড্রেনের উপর কাজ চলমান ।তবে কে ড্রেনের উপর ভারী লোড চলাচল করছে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিবেন অচিরে। রাস্তার সংস্কারের বিষয় তিনি কিছু বলতে পারেননি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.