নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পয়লা বৈশাখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের প্রত্যেকটি পয়েন্টে ছিল পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। এ ছাড়াও পুরো এলাকায় ছিল র্যাব, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াট ও সাদা পোশাকের পুলিশ।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। অনুষ্ঠান শুরুর আগ পর্যন্ত চলেছে নিরাপত্তা মহড়া। অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের বটমূলে আসতে হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পাড় হয়ে। সকাল ৯টায় টিএসসি থেকে বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল।
নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। যেমন লোকজন হবে ভেবেছিলাম তেমন নেই। মনে হচ্ছে, সাধারণ দর্শনার্থীদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এই এলাকায় বেশি। ক্যাম্পাস এলাকায় ঢোকার সময় কড়া নিরাপত্তায় একটু বিরক্ত হয়েছি কিন্তু সব মিলিয়ে আসলে ঠিকই আছে।’
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবর, শিল্পকলা একাডেমি, বিআইসিসি ভবন, নজরুল একাডেমি, উত্তরা মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসি, শাহবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং রমনা বটমূলকে বিভক্ত করে পর্যাপ্ত পরীক্ষণ চেকপোস্ট, টহল ও অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমনা বটমূল, টিএসসি ও চারুকলা ইনস্টিটিউটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং সম্পন্ন করা হবে। সারা দেশে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, মোটরসাইকেল পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, বোট পেট্রোলিং, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং।’
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.