শামীমা খানম : বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে ভারতে বিজেপির দুই নেতা নুপুর শর্মা ও নবীনকুমার জিন্দালের কটূক্তির ও অবমাননার প্রতিবাদে টঙ্গীতে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গীর মিরাশপাড়া ,বউবাজার, মরকুন, বোর্ড বাজার, গাজীপুরা, সাতা্বইশ, আউচপাড়া, বড় দেওড়া টঙ্গীবাজারসহ টঙ্গীর সমস্ত মসজিদের মুসল্লীরা একত্রিত হয়ে খন্ড খন্ড মিছিল ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ বক্তব্য রাখেন। টঙ্গী পূর্ব থানার সকল প্রশাসন বিক্ষোভ মিছিলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
প্রতিবাদ সভায় ইমাম খতিবগণ বলেন, মহানবীর (সা.) অবমাননার পর কোন ঈমানদার চুপ করে থাকতে পারে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতের এমন ন্যাক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করারও দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, স্বাধীন মতপ্রকাশ একটি সার্বজনীন মানবাধিকার। কিন্তু নিজের এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করার কাজে নিজের মত ব্যবহার করলে সেটা মারাত্মক অপরাধ সাব্যস্ত হয়। ভারতীয় জনতা পার্টিও (বিজেপি) মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নাভিল কুমার জিন্দাল যেটা করেছেন সেটা শুধু চরম অসভ্যতাই নয়, বরং এতে কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। এতে করে তারা ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জঘন্য সা¤প্রদায়িক ঘৃণা ও জাতিগত সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুতর অপকর্ম করেছে। শুধু মুসলমানরাই নন, বরং শান্তিকামী কোন বিবেকবান মানুষই এই অপকর্মকে সমর্থন করছে না। তারা বলেন, বাংলাদেশ ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। আমাদের দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীও একজন ধর্মভীরু মুসলমান। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-এমপিরাও প্রায় সময় ইসলামের প্রতি গভীর আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার কথা তুলে ধরেন। অথচ ভারতে ইসলামের নবীকে এতো গুরুতর অবমাননার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ নীরবতায় দেশবাসী হতাশ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.