নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিচার বিভাগ দলীয়করণের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশে ছদ্মবেশি একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য তারা স্বাধীন যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সব একে একে ধ্বংস করে ফেলেছে। সবার আগে তারা যেখানে হাত দিয়েছে, সেটি হচ্ছে বিচার বিভাগ। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন— আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান, যিনি কখনই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তার বিরুদ্ধেও দুদক মিথ্যা মামলা দিয়েছে, সেই মামলার কার্য্ক্রম শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এটি শুধু বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয় নয়, বিচার বিভাগকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিন বছর আগে ১৮ কোটি মানুষের নয়নের মনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে ইফতার করেছেন। আজ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনে রোষানলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’ এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে নেতাকর্মীসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান; কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, তাহসিনা রশদীর লুনা, শামা ওবায়েদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আফরোজা আব্বাস ও ইশরাক হোসেন; গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণ অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা; এবং কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা ছিলেন।