নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থেকেই ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট থেকে রোজা রাখছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আব্দুল আলীম মোল্লা। প্রতিবছর আগস্ট মাসের পনেরো তারিখের পর থেকে বিজোড় তারিখ গুলোদে তিনি রোজা রাখেন। প্রতি বছর সাতটি রোজা রেখে ৩১ আগস্ট দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া ও ইফতার করেন তিনি।
তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বর্তমানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৫৪ সালে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মুদাফা এলাকায় আব্দুল আলীম মোল্লার জন্ম। তাঁর বাবা মো. আরব আলী মোল্লা ও মা কমলা বেগম। তিনি দুই ছেলে এক মেয়ে সন্তানের জনক। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে টঙ্গীর মুদাফা ও ভাদাম এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষকে সাহায্য করতে আসা বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখতে ওই এলাকার সব শ্রেণি পেশার মানুষ জড়ো হন। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে দেখতে যান কিশোর আবদুল আলীম মোল্লা। এ সময় বঙ্গবন্ধু তাঁর গালে হাত ও মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্নেহের কথা মাথায় রেখেই তাঁর আদর্শ জনমানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে আজও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আব্দুল আলীম। সরাসরি বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পাওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা–ভালোবাসার জন্ম।
রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশের প্রথম টঙ্গী পৌরসভার মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। আব্দুল আলীম মোল্লা তৎকালীন টঙ্গী থানা যুবলীগের সদস্য থাকা অবস্থায় বিপুল ভোটে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন। পরে ২০০৬ সালে পৌর নির্বাচনে ফের কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশের বৃহত্তর সিটি করপোরেশন ৫২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
আব্দুল আলীম মোল্লা বলেন, ‘বাঙালি জাতির এগারো মাস আনন্দের এক মাস শোকের।। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, যারা স্বাধীনতাকে মানতে পারেননি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। রোজার বিষয়টি আমি পারিবারিকভাবে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকাকালীন আমার পরিবারের লোকজন রোজা রাখতেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য আমারতো তেমন কিছু করার নেই। তাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে আমি প্রতিবছর রোজা রেখে তাঁর মাগফিরাত কামনা করি। আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে যাব।’
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.