1. dainikbijoybangla2020@gmail.com : dainik bijoybangla : dainik bijoybangla
  2. laksamitinfo@gmail.com : FuwN9IPqmZ :
  3. gmsrobel@gmail.com : gms robel : gms robel
  4. kader3071@gmail.com : Abdul Kader : Abdul Kader
December 3, 2023, 11:05 am
ব্রেকিং নিউজ:
খাল-বিল ও নদী-নালাসহ প্রাকৃতিক জলাশয়ের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত টঙ্গীর ইমাম হোসাইন রনির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত ছয়টি ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও ছোট পর্দায় দেখা যাবে অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীকে টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ মৃত্যুর আগে হজে যেতে চান মৌসুমী মারা যাওয়ার পর তাঁর লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা ছাড়া র‌্যাব গ্রেপ্তার করতে পারে কি না, জানতে চান হাইকোর্ট

পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফের তাৎপর্য

  • Update Time : Tuesday, September 20, 2022
  • 58 Time View

মুহম্মদ  আবুল বাশারঃ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দরুদ শরীফ ও সালাম। ‘আখির’ শব্দটি আরবী। এর অর্থ- শেষ। আর ‘চাহার শোম্বাহ’ হচ্ছে ফার্সী শব্দ। এর অর্থ- বুধবার। আরবী ও ফার্সী শব্দের সংমিশ্রণে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ বলতে ছফর মাসের শেষ বুধবারকে বুঝানো হয়ে থাকে। মূলত, এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ খুশির দিন।এ মুবারক দিনটি সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারকের পূর্ববর্তী মাসের অর্থাৎ ছফর মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি ভীষণভাবে মারীদ্বী শান মুবারক (অসুস্থতা) অনুভব করেন।  অতঃপর দিন দিন উনার মারীদ্বী শান মুবারক (অসুস্থতা) বাড়তেই থাকে। কিন্তু এই মাসের ৩০ তারিখ বুধবার দিন ভোর বেলা ঘুম থেকে জেগে তিনি বললেন, আমার নিকট কে আছেন? এ কথা শুনামাত্রই উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছুটে আসলেন এবং বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি হাযির আছি। তখন নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আমার মাথা মুবারক-এর ব্যথা দূর হয়ে গেছে এবং শরীর মুবারকও বেশ হালকা মনে হচ্ছে। আমি আজ বেশ সুস্থতা অনুভব করছি। সুবহানাল্লাহ!এ কথা শুনে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং তাড়াতাড়ি পানি আনয়ন করে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাথা মুবারক ধুয়ে দিলেন এবং সমস্ত শরীর মুবারক-এ পানি ঢেলে ভালোভাবে গোসল করিয়ে দিলেন।গোসলের ফলে নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনার শরীর মুবারক হতে বহু দিনের অসুস্ত জনিত অবসাদ অনেকাংশে দূর হয়ে গেল। তারপর উনি বললেন, হে ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! ঘরে কোনো খাবার আছে কি? তিনি জবাব দিলেন, জী-হ্যাঁ, কিছু রুটি পাকানো আছে। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমার জন্য তা নিয়ে আসুন আর সাইয়্যিদাতুন নিছা হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে খবর দিন, তিনি যেন উনার আওলাদগণ উনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাড়াতাড়ি আমার নিকট চলে আসেন। হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত মা জাহারা আলাইহাস সালাম উনাকে সংবাদ দিলেন এবং ঘরে যে খাবার তৈরি ছিলো তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পরিবেশন করলেন।সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদগণ উনাদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাজির হলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে নিজের গলা মুবারক-এর সাথে জড়িয়ে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিলেন, নাতিগণ উনাদের কপাল মুবারক-এ চুমো খেলেন এবং উনাদেরকে সাথে নিয়ে আহারে বসলেন। কয়েক লোকমা খাবার গ্রহণ করার পর অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারাও খিদমতে এসে হাজির হলেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও বাইরে এসে হাজির হন।কিছুক্ষণ পর নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাইরে এসে উনাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ছাহাবীগণ! আমার বিদায়ের পর আপনাদের অবস্থা কিরূপ হবে? এ কথা শুনে ছাহাবীগণ উনারা ব্যাকুলচিত্তে কান্না শুরু করলেন। উনাদের এ অবস্থা দেখে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে শান্তনা দান করলেন। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ ওয়াক্তিয়া নামাযের ইমামতি করলেন।আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীর্ঘদিন মারীদ্বী শান মুবারক (অসুস্থতার) প্রকাশ করার পর ছিহহাতী (সুস্থ) শান মুবারক প্রকাশ করেন, দেহ মুবারক-এ মসজিদে নববী শরীফ-এ আগমন করেন এবং নামাযের ইমামতি করেন।

এই অপার আনন্দে হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে অনেক কিছু হাদিয়া করেন। কোনো কোনো বর্ণনায় জানা যায় যে, খুশি হয়ে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাত হাজার দীনার, হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পাঁচ হাজার দীনার, হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি দশ হাজার দীনার, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি তিন হাজার দীনার, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত উট ও একশত ঘোড়া মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য হাদিয়া করতঃ মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি লাভ করেন। সূত্র (সিরাতে ইবনে হিশাম) হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং খুলাফায়ে রাশিদীন তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সুন্নত অবশ্য পালনীয়।”বিশ্বের সকল মুসলমানসহ সমস্ত মুসলিম দেশের সরকারের উচিত যিনি ঈমানের মূল এবং সমস্ত মাখলুকাতের জন্য রহমত ও নাজাতের কারণ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অকল্পনীয় ও বেমেছাল মর্তবা ও মর্যাদা এবং ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে অবগত হওয়া। শুধু তাই নয়, উনার সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ দিন ও ঘটনাগুলো বিশেষভাবে অবগত হওয়া এবং অত্যন্ত আদব ও মুহব্বতের সাথে সেগুলো পালনে কোশেশ করা। এমনই একটি দিন হচ্ছে আখিরী চাহার শোম্বাহ। বদ আক্বীদাভুক্ত অনেকে দিনটি পালনকে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করে থাকে, যা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও ভুল। বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে এই দিনটি উপলক্ষে সাধ্যমতো হাদিয়া করা, দান-ছদকা করা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বেশি বেশি ছলাত ও সালাম পেশ করা মুসলমানদের জন্য রহমত ও নাজাতের কারণ। আখিরী চাহার শোম্বাহ বরকতময় দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা সকল মুসলমানসহ সব মুসলিম দেশের সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য।মহান আল্লাহ পাক আমাদের খাছ ভাবে কবুল করুন। আমীন! বিঃদ্রঃ- ২৪শে ছফর- ২১শে সেপ্টেম্বর ইয়াওমুল আরবিয়া অর্থাৎ বুধবার পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা.!”

ইতিহাসে নজিরবিহীন”সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা ইদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে শুরু হয়েছে ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল.!দুনিয়ার সকল জ্বীন ইনসান বিশেষ করে কুল-কায়িনাতবাসীর প্রতি পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে দাওয়াত.!আপনারা এই নেয়ামতপূর্ণ বরকতপূর্ণ মাহফিলে সবাই আমন্ত্রিত।সতরাং যামানার ইমাম ও মুযতাহিদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসিলায় আমাদেরকে সম্মানিত “আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফের তাৎপর্য উনার ফজিলত দান করুন।  (আমিন)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

এই বিষয়ে আরও খবর....
© All rights reserved © 2022 পীরজাদা মো: নোয়াব আলী
Theme Customized By LaksamIT-01712808501