নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: তরুণদের মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য (এমপি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) আয়োজিত ‘মাদক প্রতিরোধে ডোপ টেস্টের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, সন্তান আজকে মাদকের জন্য বাবা-মার ওপর চড়াও হচ্ছে।
মা-বাবা হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঐশীর উদাহরণ দিয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, এই যে ‘নৈতিক স্খলন’ এর অন্যতম কারণ মাদক। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ মাদক ছড়িয়ে গেছে। এখন মাদকের আগ্রাসন থেকে তরুণদের রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তা না হলে, বর্তমানের মাদকসেবীরাই প্রধানমন্ত্রী’র ৪১ সালের ভিশনের সময়ে গিয়ে একটি অসুস্থ প্রজন্ম হিসেবে তৈরি হবে।
সভায় উপস্থিত থেকে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ডোপ থেকে প্রকৃতপক্ষে কারো শরীরে সঠিকভাবে মাদকের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায় না। কোনো নিয়মিত মাদকসেবী যদি একটি নির্দিষ্ট সময় মাদক গ্রহণে বিরতি দেয়, তাকে কিন্তু ডোপ টেস্টে ধরা যাবে না।
আজকাল মাদ্রাসাছাত্ররাও মাদক নিচ্ছে উল্লেখ করে শাহজাদা বলেন মাদক প্রতিরোধের আগে তামাক সেবন বন্ধ করতে হবে। তামাকের ওপর আরও বেশি করে কর বাড়ানো উচিত।
সভায় সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, মাদকের গোল্ডেন ট্রায়াংগেল ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা এদেশে সবচেয়ে বেশি মাদক নিয়ে আসছে। শুধু মাদক নয়, আরও অনেক অসামাজিক কাজে তারা জড়িত। এদের অনতিবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। অনুপ্রেরণার মাধ্যমে মাদকসেবন থেকে তরুণদের দূরে রাখা যাবে। আমরা যদি সবাই যার-যার জায়গা থেকে আশেপাশে তদারকি করি তাহলে এর প্রভাব কমবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, আইন থাকলেও আইনের শাসন না থাকায় মাদকের আগ্রাসনের জন্য দায়ী। মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য-নতুন কৌশল আবিষ্কার করে এই আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডোপ টেস্ট না শুধু একটা সামগ্রিক নেটওয়ার্কিং এর মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আসার তাগিদ দেন তিনি।
সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র’র সঞ্চালনায় স্কাসের সভাপতি জেসমিন প্রেমার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ রুবিনা আক্তার, নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে প্রমুখ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.