স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরে মামলার ভয় দেখিয়ে দুই যুবকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের এক এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হলেন- গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার এএসআই শাহাদত হোসেন এবং কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো নোমান।
শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাদের বাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবককে আটক করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোক্তভোগী আলফাজ ও মনির জানান, কালিয়াকৈরের মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনার মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় উড়ালসড়কের কাছে পৌঁছালে এএসআই শাহদত হোসেন, কনস্টেবল নোমান ও মিন্টু তাদের গতিরোধ করেন। মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাদের দেহ তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয়-ভীতি দেখান। দুই কনস্টেবল তাদের (যুবকদের) পকেটে তল্লাশি করে দু’জনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেয় এবং বাড়িতে খবর দিয়ে আরও টাকা আনতে বলেন। তাদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের পিতা সেখানে ছুটে যান। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আরও ৬ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আলফাজ ও মনির জানান, দুই মাসে আগে কেনা নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। মোটরসাইকেল ক্রয়ের রশিদও তাদের সঙ্গে ছিল। সেটি দেখালেও পুলিশ নানা ভাবে ভয়-ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মালেক খসরু খান জানান, অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্যকে সিসি দিয়ে মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.