নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র ঘিরে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সংগঠনের ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই শীর্ষ নেতাকে ‘ভারমুক্ত’ করে পূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত হওয়ার পর তাঁরা বিলাসী জীবনযাপন শুরু করেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। ভারমুক্ত হওয়ার এক মাস পর হল ছেড়ে তাঁরা রাজধানীতে দুটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকা শুরু করেন, যার মাসিক ভাড়া ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
এ ছাড়া তাঁদের একাধিক গাড়ি ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে। জয়ের অনুসারী এক নেতা জানান, জয় রাজধানীর নিউমার্কেটে অবস্থিত বিশ্বাস বিল্ডার্স ভবনের ছয় তলায় থাকেন। অন্যদিকে, লেখক থাকেন ইস্কাটন গার্ডেন সিটি ভবনের ১০ তলায়।
নেতারা অভিযোগ করেন, জয়-লেখক ভারমুক্ত হলেও ঝামেলামুক্ত হয়নি ছাত্রলীগ। উল্টো এ দুই নেতার কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ নতুন করে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই জয়-লেখক সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সাংগঠনিক কাজে তাঁরা অন্য নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেন না। তাঁদের কিছু কাছের লোক সব ধরনের অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালায়। এ নিয়ে সংগঠনের ভেতরে এক সময় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.