স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বারমা – শীতলক্ষ্যা নদীতে দুই মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন এক মা। এসময় স্থানীয়রা এক শিশুকে উদ্ধার করলেও বাকী দুই জনের কোনো খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ মা-মেয়েকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ শুরু করেছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নয় বছর বয়সী শিশু তাহমিদা আক্তারকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও ৪০ বছর বয়সী মা আরিফা আক্তার ও তার সাত বছর বয়সী মেয়ে মুর্শিদা আক্তার নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ আরিফা আক্তার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী।
সিংহস্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার পারভেজ বলেন, দুপুর একটার দিকে স্থানীয়রা শীতলক্ষ্যা নদীতে মা-মেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি ফোন করে জানায়। এসময় নদীর তীরে বাঁশের মাচা ধরে রাখা অবস্থায় ৯ বছর বয়সী শিশু তাহমিদাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী পার্শ্ববর্তী রায়েদ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। সে কেন এখানে এসেছেন, আর পানিতেই কেন নেমেছেন তার কারণ জানা যায়নি।
আরিফার ভাই মোজাম্মেল হোসেন জানান, ১০/১২বছর আগে স্থানীয় আব্দুল মালেকের সাথে বোন আরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়। ২০২০ সালে স্বামী আব্দুল মালেক মারা যাওয়ার পর থেকেই আরিফা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
উদ্ধার হওয়া শিশু তাহমিদা জানান, রবিবার সকালে মা জুতা, সিঙ্গারা ও জামা কাপড় কিনে দেয়া কথা বলে তাদের দুই বোনকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসে দুই বোনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এসময় মায়ের হাত ফসকে নদীতে থাকা বাঁশের মাচা ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে শিশু তাহমিদা। পরে মাছ ধরতে আসা জেলেরা তাকে উদ্ধার করে।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশু ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে শীতলক্ষ্যা নদীতে এখনো মা ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.