নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিচারের নামে প্রহসন করে গণহত্যার জন্য খুনি হিসেবে মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার হতে পারে। অন্তত কমিশন গঠন করে ১৯৭৭ সালের সেই সত্যকে উদঘাটন করা সম্ভব। আমি সেই দাবি সংসদে উপস্থাপন করব। গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ করেছি তা কিন্তু আইন মেনে করিনি। তখন কিন্তু পাকিস্তান বলে রাষ্ট্র ছিল। মানুষের প্রয়োজনে আইনের ব্যত্যয়ও ঘটে। মরণোত্তর বিচারের নজির আছে। হয়ত সাজাভোগ করানো যায়নি। কিন্তু ইতিহাসে দোষী হিসেবে নাম রয়ে গেছে। জিয়ারও নাম রয়ে যাবে খুনি হিসেবে। সেজন্য তখনকার সেই গণহত্যার বিচারের নামে প্রহসনের তদন্ত হওয়া দরকার, বিচার হওয়া দরকার। এটা কোনো বেআইনি কিছু হবে না। সত্যকে উদঘাটন ও প্রতিষ্ঠা করাটাও আইনের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করে লাশ গুম করেন ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.