শামীমা খানম : অনিশ্চিত ভবিষ্যত জীবন নিয়ে দিনাতিপাত করছে টঙ্গীর আমতলী হরিজন’ পল্লীসমাজের লোকজন। তারা পানি , বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কোন রকমে জীবনযাপন করছেন। সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায় টঙ্গীর ৪৬ নং ওয়ার্ড হিমার দিঘি হরিজন জনগোষ্ঠীর। বাংলাদেশ ডোম সমাজ উন্নয়ন কমিটি টঙ্গী শাখার অধীনে হলেও প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি সুবিধা বঞ্চিত পরিবার ২০০ থেকে আড়াইশো জন সদস্য নিয়ে টঙ্গীর আমতলী কেরানীটেক হরিজন পল্লীসমাজ গঠিত। প্রায় ১৩ বছর যাবত দিনাতিপাত করে আসছে হতদরিদ্র ডোম, সুইপার পরিচয় হরিজন জনগোষ্ঠী।
মহিলা নেত্রী বিন্দিয়া রানী জানান, পূর্বপুরুষ অব্দি ৫০ বছর যাবত টঙ্গীর মুন্নু টেক্সটাইল মিলের জমিতে বসবাস করলেও, ওইখান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে প্রায় ১৩ বছর যাবত তারা টঙ্গীর হিমার দিঘির নতুন হরিজন’ পল্লীতে রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় বসবাস করে আসছেন। রেল ওয়ের এই পরিত্যক্ত জায়গা ও উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে উন্নয়নের কাজে।
মিনা রানী জানান, আমাদের মধ্যে কোন শিক্ষার আলো না থাকায় আমরা ডোম পরিবারের সন্তান হয়েও সরকারি কোন চাকরিতে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা। চাকরির জন্য যেখানেই যাই শুধু মাত্র বাড়ি ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে আমাদেরকে মানুষ ভাবে।
সভাপতি সালমান ডোম জানান, আমরা সবাই নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত অথচ আমাদের মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকুও নেই। আমরা প্রায় ২০০ থেকে আড়াইশো সদস্য গাজীপুরের ভোটার।
তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি এভাবেই পিছিয়ে থাকবে। আমরা পড়তে ,লিখতে ,ভালো সমাজের স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে বাঁচার নেই কি কোন অধিকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দৃষ্টিআকর্ষণ পরিবারের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের নেয় আমাদেরও মাথা গোঁজার মত কিছু জমি দিলে আমরা উপকৃত হব। পেয়ে যাব আমরা শিক্ষা, হয়ে যাবে আমাদের চাকরি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.